Hoverable Dropdown

Move the mouse over the button to open the dropdown menu.

BENGALI(বাংলা)

আমার ছেলেবেলা 
প্র:- আমার ছেলেবেলা কার লেখা? তাঁর কোন বই থেকে এই লেখাটি নেওয়া হয়েছে ?
উ:- আমার ছেলেবেলা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা । এই লেখাটি ক্ষীরের পুতুল বই থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্র:- বাবামশায়ের নাম কী ?
উ:- বাবামশায়ের নাম ছিল গুনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।

প্র:- ভিস্তি রোজ কী করে?
উ:- ভিস্তি দিয়ে রোজ পরিস্কার জল ভরতি করা হয় ।

প্র:- বোম্বেটে কারা ? তারা কী করে?
উ:- বোম্বেটে মানে জলদস্যু । কিন্তু এই গল্পে দুষ্টু ছেলে ।

প্র:- টুনি সাহেব কথা থেকে আসত?
উ:- টুনি সাহেব শ্রীরামপুর থেকে আসত ।

প্র:- সুবিধেমতো সে কী করত?
উ:- সুবিধেমতো টুনি সাহেব বাবামশায়ের  দুয়েকটি  দামি পাখিও সরাত ।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন:-
১. 'খেয়াল হল, লাল মাছ, তার জল লাল হওয়া দরকার'- কার খেয়াল হল ? খেয়াল মেটাতে তিনি কী করলেন?
উ:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খেয়াল হল । খেয়াল মেটাতে তিনি খানিকটা মেজেন্টা না কী রং জোগাড় করে মাছের টবে গুলে দিলেন ।

২. বিকেলে শুনি মালির চিতকার - মালি কী দেখে চিত্কার করল ? সে কী বলল ?
উ:- মালি দেখল লাল মাছের টবের জল লাল হয়ে গিয়েছে । সে বলল জলে লাল রং গুলল কে ? মাছ যে মরে ভেসে উঠেছে ।

৩. 'এ আর কারো কাজ নয়, ঠিক ওই বোম্বেটের কাজ' - এই কথা কে বলেছেন? বোম্বেটে কারা ? এই কথাটি তিনি কথা থেকে শিখে এসেছিলেন? এখানে কাকে বোম্বেটে বলা হয়েছে ?
উ:- এই কথাটি সারদা পিসেমশায় বলেছেন । চীনের জলদস্যুদের বোম্বেটে বলে । এই কথাটি তিনি চীন থেকে শিখে এসেছেন । এখানে বোম্বেটে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে বলা হয়েছে ।

৪. 'শখ গেল তাদের ছেড়ে দিয়ে দেখতে হবে কেমন করে ওড়ে' - কার শখ গেল ? কাদের ছেড়ে দিয়ে দেখতে হবে ? শখ মেটাবার জন্য তিনি কী করলেন ?
উ:- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শখ গেল । ক্যানারি পাখিদের ছেড়ে দিয়ে দেখেতে হবে । শখ মেটানোর জন্য লেখক শ্রীরামপুর থেকে আসা টুনি সাহেব কে  ক্যানারি পাখির খাঁচা খুলে দিতে বলে, এতে ফুর ফুর করে সব পাখি উড়ে যায়।

৫. দাও না ক্যানারি পাখির খাঁচা খুলে - কে বলেছে ? কাকে বলেছে ? ক্যানারি পাখি কে পুষতেন ? ওই পাখি কোথায় ছিল ?
উ:- অবনীন্দ্রনাথ  ঠাকুর টুনি সাহেব কে বলেছে । ক্যানারি পাখি বাবামাশয় মানে গুনেন্দ্রনাথ ঠাকুর পুষতেন । ওই পাখি খাঁচায় ছিল ।

বোধমূলক প্রশ্ন:-
১. খাঁচার পাখি ছেড়ে দেওয়া কি দোষের ? তোমার কি মনে হয় ?
উ:- খাঁচার পাখি ছেড়ে দেওয়া দোষের নয় | কারণ পাখিদের মুক্ত আকাশে ঘুরতে ভালো লাগে |

লাল মাছের জলে লাল রং দেবার ইচ্ছে লেখকের কেন হল ?
উ: লাল মাছের জলে লাল রং দেবার ইচ্ছে লেখকের হল কারণ লাল মাছ তাই তার জল লাল হওয়া দরকার |

টুনিসাহেব চম্পট দিল কেন ?
উ:- টুনিসাহেব ক্যানারি পাখির খাঁচা খুলে দেওযায় ফুর ফুর করে পাখিগুলো সব বেরিয়ে যায়, টুনি সাহেব জাল দিয়ে কিছুতেই পাখি ধরতে পারেনি তাই তিনি চম্পট দিলেন|

লেখকের পরিচয়:- 
নাম - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জন্ম - জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে | বাবার নাম - গুনেন্দ্রনাথ ঠাকুর | মা - সৌদামিনী দেবী 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - লেখকের কাকা ছিলেন - রবিকা |
সারদা পিসেমশায় - সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় |

শব্দের অর্থ -
ভিস্তি :- যারা চামড়ার থলেতে করে জল এনে দেয় |
শখ গেল- ইচ্ছে হল |
মতলব :- মানের ইচ্ছে |
সিদ্ধি :- কাজের সফলতা |
বোম্বেটে :- জলদস্যু , এখানে অর্থ দুষ্টু ছেলে |
খেতাব :- উপাধি |
বিখ্যাত :- নামকরা |
চম্পট :- পালিয়ে যাওয়া |
ক্যানারি :- একজাতের মুনিয়া পাখি, দোয়েলের মতো শিস দিতে পারে |
বাক্য রচনা করো _
শখের :- 
ভিস্তি :-
পরিস্কার :-
মালি:-
মতলব :- 
=====
কালো কালো মেঘগুলি

প্র:-কালো কালো মেঘ দেখলে আমরা কী বুঝি ?
উ:-কালো কালো মেঘ দেখলে আমরা বুঝি যে ভারী বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা আছে |

প্র:-বৃষ্টির খবরে গাছপালার আনন্দ হয় কেন ?
উ:-বৃষ্টি এলে গাছ পালার আনন্দ হয় কারণ তাদের ডাল-পালা এবং পাতা থেকে ধুলো  ময়লা সাফ করে দেয় | তাদের ভালো করে স্নান করিয়ে দেয় |

প্র:-বৃষ্টি হলে চাষ বাসের  কী লাভ হয় ?
উ:- বৃষ্টি হলে চাষ বাস ভালো হয় আর ফসলও ভালো হয় | 
       
প্র:-অতিবর্ষনে কী হয়?
উ:-অতিবর্ষণে বন্যা হয়  |

প্র: কালো কালো মেঘগুলি কার লেখা ?
উ: কালো কালো মেঘগুলি কবিতাটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা |

প্র:গাছপালারাও সব বোঝে ………. কী বোঝে ? বুঝে তারা কী বলে ?
উ:-কালো কালো মেঘ দেখতে পেয়ে গাছপালা,বৃক্ষলতা বৃষ্টির আগাম খবর বুঝতে পারে, তারা বলে, বৃষ্টি এসে তাদের ডালপালা পাতা থেকে ধুলো-ময়লা ধুয়ে সাফ করে তাদের ভালো করে স্নান করিয়ে দিক |

প্র:-বৃষ্টি কতটা হওয়া ভলো ?
উ:- বৃষ্টি কম হলে  যেমন ফসল ভালো হয় না, তেমন আমাদের নানা অসুবিধা হয় | আবার বেশি বৃষ্টি হলেও বন্যা হওয়ার আশংকা থাকে | তাই যতটুকু বৃষ্টি হলে আমাদের সকলের ভালো হয় ততটুকু বৃষ্টি হওয়াই ভালো |

প্র:-অতিবর্ষণে জাগে বন্যার ভয় – বন্যা হলে কী হয় ? অল্প কথায় লেখ |
উ:-অতিবর্ষণে বন্যা হয় হবার আশংকা থাকে যারা মাঠে চাষবাস করে তারা ভয় পায় কারণ মাঠের সব ফসল নস্ট হয়ে যায় | চাষীদের সাথে আমাদেরও ক্ষতি হয় | বন্যায় চারিদিকে জল জমে | মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে |

প্র: কালো কালো মেঘগুলি কবিতাটি কার লেখা এবং কোন পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উ:- কালো কালো মেঘগুলি কবিতাটি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা এবং কিশোর ভারতী পত্রিকা থেকে নেওয়া হয়েছে |

শব্দের অর্থ –

ছিটেফোঁটা – খুব অল্প পরিমান
ভরা-ভরা ঘড়া-ঘড়া – বড়ো বড়ো কলসি ভরা জল
ভারী বর্ষণ – বেশি বৃষ্টি
ঢালা মাটি - বড়ো ঢিল এর মত মাটি | মাটির ঢ্যালা
অতিবর্ষণ – খুব বৃষ্টি
আগাম – আগে থাকতে
ভরা – ভর্তি
ঘড়া – বড়ো কলসি
চাষবাস – কৃষিকাজ
যখন যা, তখন তা

কবির নাম :- মনমোহন বসু , জন্ম :- চব্বিশ পরগনা জেলার চত জাগুলিয়া গ্রামে | 
বাবার নাম :- দেব্নারায়ণ বসু |
এই কবিতা টি পদ্যমালা প্রথম ভাগ থেকে নেওয়া |

১. কী কী কাজ করলে বিদ্যা, সুখ ও শান্তি পাওয়া যায় ?
উ:- সময়ের কাজ সময়মতো করলে করলে বিদ্যা, সুখ ও শান্তি পাওয়া যায় | যেমন পড়ার সময় পড়া খাবার সময় খাওয়া ইত্যাদি |

২. কী রকম আচরন করলে লোকে তোমাকে  মন্দ বলবে ?
উ:- ছোটবেলায় যদি আমি বড়দের মত আচরণ করি, কথা বলি, তাহলে লোকে আমায় মন্দ বলবে |

৩. অসুখ করলে ওষুধ না খেলে কি হবে ?
উ:- অসুখ করলে ওষুধ না খেলে অসুখ সারবে না স্বাস্থও ভলো হবে না |

৪. কবিতা টি কার লেখা ?
উ:- কবিতা টি মনমোহন বসুর লেখা |
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন :-
১. পড়তে পড়তে খেলতে চাইলে কী হয় ?
উ:- পড়তে পড়তে খেলতে চাইলে লেখাপড়া শেখা হয় না |

২. দিনে ঘুমিয়ে যে রাতে জেগে থাকে সে কী পায় না ?
উ:- তার স্বাস্থ্য কখনো ভালো থাকে না |

৩. ছোট বয়সে বড়োদের মতো আচরণ করা কী শোভা পায় ?
উ:- ছোট বয়সে বড়োদের মতো আচরণ করলে শোভা পায় না, যে বড়োদের মতন আচরণ করে তাকে মন্দ বলে |

বোধমূলক প্রশ্ন :-
১. যখনকার  যে কাজ তখন তা না করলে কী হয় ?
উ:- যখনকার যে কাজ তখন তা না করলে বিদ্যা, সুখ ও শান্তি পাওয়া যায় না |

২. এই কবিতায় যে-সব দোষের কথা বলা হোয়েছে সেগুলি কী কী ?
উ:- এই কবিতায় যে-সব দোষের কথা বলা হোয়েছে সেগুলি হলো বাল্যকালে অলস, পড়ার সময় খেলা, খাবার সময় শুয়ে থাকা, বেড়াবার সময় শুয়ে থাকা, সবার মাঝখানে অসভ্যতা ইত্যাদি |

শব্দের অর্থ :-
বাল্যকাল :- ছোটবেলায় / আলস্যে :- কুঁড়েমি করে / কালে:- সময়ে / অকালে :- অসময়ে /
বচনে:- কথায় / মন্দ:- খারাপ / সভা :- যেখানে অনেকে জড়ো হয়েছে |


লাডাকের বুনো হাঁস 
মুখে মুখে বল :-
1. জোয়ানদের কাছে চিঠিপত্র তেমন পৌঁছাত  না কেন ?
উ:- লাডাক বরফে ঢাকা এবং নির্জণ জায়গা | সেখানে জোয়ানরা সীমান্ত পাহারার কাজে থাকে |সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সৈনিকদের কাছে তাদের বাড়ি থেকে আসা চিঠিপত্র পৌঁছাত না  |

২. আহাত হাঁসটিকে জোয়ানরা কোথায় রাখল ?

উ:- জোয়ানরা আহাত হাঁসটিকে মুরগি রাখার খালি জায়গায় রাখল |

৩. হাঁস দুটিকে জোয়ানরা কি খেতে দিত ?
উ:- জোয়ানরা বুনো হাঁসদের টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি খেতে দিত |

৪. হাঁস দুটি জোয়ানদের কাছে কতদিন থাকল ?
উ:- হাঁস দুটি জোয়ানদের কাছে সারা শীতকাল থাকল | যখন হাঁসটির ডানা  আসতে আসতে সেরে গেল তখন সে একটু একটু করে উড়তে পারল , শীতের শেষে পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করলে পাখিদের দলের সাথে তারা ফিরে গেল |
৫. এই লেখাটি কার ? তাঁর আর কোনও লেখা কি তুমি পড়েছ ?
উ:- এই লেখাটি লীলা মজুমদার এর | না |

জ্ঞান মূলক প্রশ্ন:-
১. সেখানে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল' -- কোথায় ?
উ:- লাডাকের বরফ ঢাকা নির্জন জায়গায় |
২. ' এটার চারিদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে' -- কার চারিদিকে? ও কে উড়ে বেড়াচ্ছে ?
উ:- প্রথম যে বুনো হাঁস টি জখম হয়ে দল ছেড়ে নীচে নেমে পরেছিল তার চারিদিকে আর একটা বুনো হাঁস উড়ে বেড়াচ্ছিল |
৩. ' তারপর ওদের সঙ্গে সঙ্গে নিজেই গিয়ে তাঁবুতে ঢুকল'| কাদের সঙ্গে সঙ্গে ? কে গিয়ে তাঁবুতে ঢুকল?
উ:- প্রথম যে বুনো হাঁসটাকে জোয়ানরা বরফ পরা শুরু হতেই তাঁবুতে নিয়ে এল তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় হাঁসটি তাঁবুতে ঢুকল |
৪. ' সারা শীতকাল দুজনে ওখানে থেকে গেল ' - কোন 'দুজনে' থেকে গেল ? ' ওখানে' মানে কোনখানে ?
উ:- দুই বুনো হাঁস জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গায় থেকে গেল |
৫. পরের হাঁস টা  করলেই উড়ে যেতে পারত, তবু গেল না কেন ?
উ:- এই দুই বুনো হাঁস দুজন দুজনের বন্ধু  ছিল তাই এক বন্ধুর দুঃখের সময় আর এক  বন্ধু উড়ে যায়নি|

শব্দের অর্থ :-
তিরের ফলা :- তিরের মাথা | / সীমান্ত :- দেশের শেষ সীমা / নিরাপদে :- কোনো আপদ বিপদ ছাড়া /
জখম - আঘাত / লাডক :- জম্মু কাশমীরে অবস্থিত, হিমালয়ের কলে একটি উঁচু জায়গা |
জোয়ান - জওয়ান, সৈনিক / ঘাঁটি :- যেখান থেকে প্রহরীরা পাহারা দেয় | নির্জন :- লোকজন নেই /
টিনের মাছ :- টিনের কৌটোয় ভার মাছ |
************
লোভী পথিক
প্র:বাঘ কোথায় থাকত ?
উ:বাঘ জলার ধরে বনের মধ্যে থাকত |

প্র:বাঘ কি শিকার করত ?
উ: বাঘ বুনো হরিণ-মোষ শিকার করত |

প্র: বাঘ যখন বুড়ো হয়ে গেল তখন সে কি করত?
উ: বাঘটা যখন বুড়ো হয়ে গেল তখন সে আর দৌড়াদুড়ি করে হরিন-মোষ শিকার করতে পারত না |

প্র: বাঘটার কাছে কি ছিল?
উ: বাঘটার কাছে একটা সোনার বালা ছিল |

প্র: সোনার বালাটা হাতে নিয়ে বাঘ কোথায় বসে থাকত ?
উ: সোনার বালাটা হাতে নিয়ে বাঘ জলার ধারে বসে থাকত |

প্র: বুড়ো বাঘটা কি ফন্দি সোনার করেছিল ?
উ: বুড়ো বাঘটা পথিকদের সোনার বালার লোভ দেখিয়ে শিকার করার ফন্দি করল |

প্র: লোভী পথিক বাঘকে কি বলেছিল ?
উ: লোভী পথিক বাঘকে বলেছিল যে তার মত হিংস্র প্রানীকে কি করে বিশ্বাস করবে?

প্র: পথিকের কথার উত্তরে বাঘ কী বলেছিল?
উ: বাঘ বলেছিল যে সে বুড়ো হয়ে গেছে, দাঁত পড়ে গেছে; সুতরাং তাকে ভয় পাওয়ার কারণ নেই |

প্র: পথিক কোথায়, কিসে আটকে গিয়েছিল?
উ: পথিক বাঘের কাছে আসতে গিয়ে কাদায় আটকে গিয়েছিল |
নোট : বাঘ এসে পথিকের ঘার কামড়ে ধরল |

প্র: লোভি পথিক গল্প টি কার ?
উ: লোভি পথিক গল্পটি হিতপদেশের গল্প |
=================
বাচাল কচ্ছপ 
১. কচ্ছপ কোথায় থাকত ?
উ:-কচ্ছপটা ডোবায় থাকত |
২. মাঝে মাঝে সে কোথায় উঠে আসত ?
উ: মাঝে মাঝে সে ডাঙায় উঠে আসত |
৩. কচ্ছপ যাকে সামনে পেত তার সঙ্গে কী করত ?
উ: কচ্ছপ যাকে সামনে পেত  তার সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিত |
৪. আশেপাশের সকলে কচ্ছপ টাকে কী বলত ?
উ: আশেপাশের সকলে কচ্ছপ টাকে বাচাল বলত |
৫.  কচ্ছপটা কী না করে থাকতে পারত না ?
উ: কচ্ছপটা কথা না বলে থাকতে পারত না |
৬. এক দিন কচ্ছপটা যে ডোবায় অর্থাত পুকুরে থাকত সেখানে কী উড়ে এল ?
উ: এক দিন কচ্ছপটা যে ডোবায় অর্থাত পুকুরে থাকত সেখানে দুটো রাজহাঁস উড়ে এল |
৭. কচ্ছপটা রাজহাঁস দুটোকে আলাপ করে কী জিজ্ঞাসা করে ছিল ?
উ: কচ্ছপটা রাজহাঁস দুটোকে জিজ্ঞাসা করলো " তোমরা কোথায় থাক ? সে কত দুরে ? উড়ে আসতে কত সময় লাগে ? ইত্যাদি |
৮. হাঁস দুটি কচ্ছপটাকে কী বলল ?
উ: হাঁস দুটি কচ্ছপটাকে বলল ভাই, আমরা অনেক দুরে একটা হ্রদের মধ্যে থাকি সেখান কাচের মত স্বচ্ছ জল | যেতে একবেলে সময় লাগে |
৯. হাঁস দুটি কচ্ছপটাকে নিজেদের দেশের কথা বলার পর কচ্ছপটা হাঁসদুটো কে কী অনুরোধ করে ছিল ? এবং কী প্রতিজ্ঞা করে ছিল ?
উ: কচ্ছপটা হাঁস দুটো কে অনুরোধ করেছিল যে " আমায় নিয়ে যাবে তোমাদের দেশে? এবং কচ্ছপটা প্রতিজ্ঞা করেছিল যে সে পথে হাঁসেদের সঙ্গে যাবার সময় একটিও কথা বলবে না |
১০. কিভাবে কচ্ছপটাকে হাঁস দুটো তাদের দেশে নিয়ে যাচ্ছিল ? বা রাজহাঁস দুটি কেমন করে কচ্ছপটাকে নিয়ে যাচ্ছিল ?
উ: হাঁসদুটো একটা লাঠিকে দুজনে পাদিয়ে ধরে রেখে ছিল আর কচ্ছপটা লাঠির মাঝখানটা কামড়ে ধরে ছিল এইভাবে হাঁসেরা কচ্ছপটাকে নিয়ে আকাশে উড়তে থাকে তাদের দেশে কচ্ছপটাকে নিয়ে যাবার জন্য |
১১. কচ্ছপটার স্বভাব কেমন ছিল ?
উ: কচ্ছপটা যাকে সামনে পেত তারই সঙ্গে আলাপ জুড়ে দিত সে খুব বাচাল স্বভাবের ছিল |
১২. কচ্ছপটা কোথায় যেতে চেয়েছিল ?
উ:- কচ্ছপটা রাজহাঁসদের দেশে যেতে চেয়েছিল |
১৩. কচ্ছপটা পরে গিয়েছিল কেন ?
উ: রাজহাঁসদুটো যখন কচ্ছপটাকে নিয়ে আকাশে উড়ে যাচ্ছিল তখন কয়েকটা রাখাল ছেলে কচ্ছপটাকে বলল এই বাচাল কচ্ছপটা কতক্ষণ মুখ বন্ধ করে থাকবে আর যেই না বলা কচ্ছপটা তাদের কে বলতে গেল আর ধাপাস করে মাটিতে পড়ে গেল | 

                                                               =================

শব্দ, পদ ও বাক্য
প্র: শব্দ কাকে বলে ?
উ: কতকগুলি বর্ণ পাশাপাশি বসে যখন কোনো মনের ভাব বা অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে বলে শব্দ|
উদাহরণ: যেমন মানুষ একটি শব্দ কিন্তু ষনুমা কোনো শব্দ নয় |

প্র: বিভক্তি কাকে বলে ?
উ: যে বর্ণ এবং বর্ণগুছ শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দকে বাক্যে ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে, তাকে বলে বিভক্তি |
উদাহরণ:-যেমন ছেলেটি খাতায় চাবি আঁকছে |

প্র: পদ কাকে বলে ?
উ: শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে পদ বলে | তবে শব্দকে বাক্যে ব্যবহার করতে হলে অনেক সময় শব্দের সঙ্গে বিভাক্তি যোগ করতে হয়| তাই আমরা একথাও বলতে পারি – বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে | যেমন -বনে থাকে বাঘ |
এখানে বনে জলে আকাশে – তিনটিতেই এ বিভক্তি যুক্ত আছে |

প্র: বাক্য কাকে বলে ?
উ: শব্দ বা পদকে পরপর সাজিয়ে যখন মনের একটি ভাব প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য বলে |

বাক্য তৈরির প্রধান তিনটি শর্ত আছে |
প্রথম শর্ত :-বাক্যের পদগুলিকে ঠিকমত সাজাতে হবে, যাতে একটি মনের ভাব প্রকাশ পায়| যেমন – আমরা ভাত খাই |

দ্বিতীয় শর্ত :- বাক্যটির উপযুক্ত অর্থ বোঝবার যোগ্যতা থাকবে | যেমন ছেলেটি ভাত খাচ্ছে |

তৃতীয় শর্ত :- বাক্যে একটি মনের ভাব শেষ করতে হবে | একটুখানি বলে থেমে গেলে হবে না, কেন-না, তাতে সবচেয়ে কম বলেও যে-ভাব পরশের কাজটা শেষ করা যায়, সেই আকাঙ্খা বা আগ্রহের পুরণ হয় না |

প্র: উদ্দেশ্য কাকে বলে ?
উ: বাক্যে যার সম্বন্ধে কিছু বলা হয় তাকে বলে উদ্দেশ্য |
উদাহরণ:-যেমন – অমল ভালো ফুটবল খেলে | এই বাক্যে অমল সম্বন্ধে কিছু বলা হয়েছে | তাই অমল হল উদ্দেশ্য |

প্র: বিধেয় কাকে বলে ?
উ: বাক্যে উদ্দেশ্য সম্বন্ধে যা কিছু বলা হয়, তাকে বলে বিধেয় |
উদাহরণ:- যেমন :- অমল ভালো ফুটবল খেলে| এই বাক্যে অমল সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, সে ভালো ফুটবল খেলে | তাই ভালো ফুটবল খেলে বাক্যের এই অংশটি বিধেয় |

প্র: বাক্য তৈরি করতে কী লাগে ?
উ: বাক্য তৈরি করতে লাগে পদ |

প্র: গরুগুলি আকাশে উড়ছে এটি বাক্য নয় কেন ?
উ: গরুগুলির আকাশে ওড়ার যোগ্যতা নেই | তাই এটি অর্থপূর্ণ নয় | আর তাই এটি বাক্য নয় |

প্র: বাক্যের প্রধান অংশ ক-টি ও কী কী ?
উ: বাক্যের প্রধান অংশ দুটি – উদেশ্য (subject) ও বিধেয় (predicate) |


ধ্বনি ও বর্ণ
প্র:-ধ্বনি কাকে বলে ?
উ:- আমরা মুখ দিয়ে যে আওয়াজ বের করি বা কান দিয়ে যা শুনি, তাকে বলে ধ্বনি |
যেমন : - অ, আ, ক, খ ইত্যাদি |
মনেরেখ :- আমাদের মুখের কথার সবচেয়ে ছোট অংশকে বলা হয় ধ্বনি |

প্র:- বর্ণ কাকে বলে?
উ:- ধ্বনির লিখিত রূপকে বলা হয় বর্ণ |
যেমন :- অ, আ, ক, খ ইত্যাদি |

প্র:- ধ্বনি কাকে বলে ?
উ:- আমাদের মুখের কথার সবচেয়ে ছোটো অংশকে বলা হয় ধ্বনি |

প্র:- ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কি  ?
উ:- বর্ণ কখনও উচ্চরিত হয় না , ধ্বনি উচ্চারিত হয় |

প্র:- স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে কি বলে ?
উ:- স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে  বলে বর্ণমালা |

প্র:- বর্ণমালা কতগুলি ভাগে বিভক্ত ?
উ:- বর্ণমালা দু-ভাগে বিভক্ত স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ |

প্র:- বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ কটি ?
উ:- বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ ১১ টি এবং ব্যঞ্জনবর্ণ  ৩৫ টি | এইভাবে বাংলা বর্ণমালায় মোট (১১+৩৫)= ৪৬ টি বর্ণ আছে |

প্র:- বাগযন্ত্র কাকে বলে ?
উ:- আমরা মুখের ভেতরের যে অংশগুলির সাহায্যে কথা বলি, সেগুলিকে বলা হয় বাগযন্ত্র |



আমাদের বাগযন্ত্রগুলি হল -

১. জিহ্বা (জিভ ), ওষ্ঠ (ঠোঁট ), কন্ঠ (গলা ), তালু (টাকরা ), মূর্ধা (তালুর ওপরের অংশ ), দন্ত (দাঁত) এবং নাসিকা (নাক )| তবে কথা বলার সময় জিভ বেশি নাড়াচাড়া করে বা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে | তাই ভাষাকে অনেক সময় tongue (টাং) বলা হয় | যেমন মাতৃ ভাষা - mother tongue (মাদার টাং) |

প্র:- স্বরধ্বনি কাকে বলে ?
উ :- মুখের ভেতর থেকে যে আওয়াজটা কোথাও বাধা না-পেয়ে বেরিয়ে আসে, তাকে বলা হয় স্বরধ্বনি

প্র:- ব্যঞ্জনধ্বনি কাকে বলে ?
উ:- স্বরধ্বনির সাহায্য ছাড়া যে ধ্বনি উচ্চারিত হতে পারে না, তাকে বলে ব্যঞ্জনধ্বনি |

প্র:- যুক্তাক্ষর কাকে বলে ?
উ:- দুটি বা তার বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে যদি কোনো স্বরধ্বনি না থাকে তাহলে ওই ব্যঞ্জনধ্ব্নিগুলিকে একত্রে লেখা হয় | তখন তাকে বলে যুক্তাক্ষর |

প্র:- হ্রস্বস্বর কাকে বলে ? উদাহরন দাও |
উ:- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে কম সময় লাগে, তাকে বলে হ্রস্বস্বর যেমন - অ, ই, উ |

প্র:- দীর্ঘস্বর কাকে বলে ? উদাহরন দাও |
উ:- যে স্বরধ্বনি উচ্চারণ করতে বেশি বা দীর্ঘ সময় লাগে, তাকে বলে দীর্ঘস্বর | যেমন - আ, ঈ, ঊ |

প্র:- যৌগিক স্বর কাকে বলে ? উদাহরণ দাও |
উ:- উচ্চারণের দ্রুততার জন্য যখন দুটি স্বরধ্বনি মিশে যায়, তখন তাকে বলে যৌগিক স্বর | যেমন - ঐ, ঔ |
******
অনুচ্ছেদ রচনা 

আমাদের পরিবেশ
আমরা যেখানে বাস করি তাকে ঘিরে যা কিছু আছে তাই নিয়েই গড়ে ওঠে আমাদের পরিবেশ | এই পরিবেশকে ভালো রাখতে না পারলে আমরা সুস্থভাবে বাঁচতে পারব না | লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা গাছপালা কেটে ঘরবাড়ি, রাস্তা, কলকারখানা গড়েছি | এরফলে বাতাসে অক্সিজেন কমে গেছে | কৃষি কাজে ব্যবহার হওয়া অতিরিক্ত  সার ও কীটনাশক আমাদের মাটি ও ফসল দুষিত করছে | সেই ফসল আমাদের শরীরের ক্ষতি করছে ও মাটির নীচের জল দুষন ছড়াচ্ছে | এই পরিস্থিতিতে আমাদের গাছ না কেটে আরোও গাছ লাগাতে হবে | যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে | মনে রাখতে হবে একটি গাছ একটি প্রাণ | আমাদের পরিবেশ বন্ধু হতে হবে |
***
আমার বিদ্যালয়
আমার বিদ্যালয়ের নাম দিল্লী পাবলিক স্কুল। আমার বিদ্যালয় একটি বিখ্যাত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান | আমাদের বিদ্যালয় রাস্তার ওপর অবস্থিত ও চারপাশে উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা | বিদ্যালয়ের প্রধান ভবনটি তিনতলা | বিদ্যালয় ভবনের সামনে একটি ফোয়ারা আছে | এখানে শ্রেনীকক্ষ বেশ  বড় আলো বাতাস যুক্ত | বিদ্যালয়ে গ্রন্থাগার ও কম্পিউটার ঘর আছে | আমাদের বিদ্যালয়ে বৃহত খেলার মাঠ ও সাঁতার শেখার জন্য পুল আছে | আমাদের শিক্ষকরা যত্ন সহকারে আমাদের বিদ্যা শিক্ষা দেন ও স্নেহ করেন | আমাদের শরীরচর্চা ও পড়ার বাইরের বিভিন্ন গঠনমূলক কাজের  জন্য উত্সাহ দেওয়া হয় | আমরা আমাদের শিক্ষক  শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষককর্মীদের সম্মান  করি | আমার  বিদ্যালয়ে আমরা ছাত্রছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাকি সমস্ত শিক্ষাকর্মী মিলে এক যৌথ পরিবারের মতো অনুভব করি |
Click here to See More

1 comment: